
বিয়েবাড়িতে কবজি ডুবিয়ে ভাল-মন্দ খাওয়ার আনন্দ অনাদিবাবু প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। কে যে ছড়িয়ে ছিল গুজবটা! সামনে একবার পেলে বাপের নাম খগেন করে ছেড়ে দিতেন। কী করে যেন বাজারে রটে গিয়েছিল যে অনাদি মুখোপাধ্যায় যেখানে নিমন্ত্রিত, সেই বিয়ে ভাঙতে বাধ্য। আজ নয় কাল। লেখাপড়া করা লোকই কুসংস্কারের ডিপো হয়, এ অনাদিবাবু দেখে এসেছেন। তাঁর নিজের অনেক দোষ থাকতে পারে, তবে থালা বাজিয়ে করোনা থামানোর মতো হাস্যকর কিছু তিনি করেননি। কিন্তু তাঁর পড়শিরা করেছে। এখনও চোখে ভাসে, কানে বাজে। হাউজিং-এর বেশির ভাগ পরিবার ব্যালকনিতে ভিড় করে হাতা-চামচে দিয়ে থালা বাজাচ্ছে আর দাঁত বার করে হাসছে। কেউ সেলফি নিচ্ছে, কেউ ভিডিও করছে, কেউ ভিডিও কল করে কাউকে দেখাচ্ছে। আর সেই সমবেত আওয়াজে ছিটকে গিয়ে এলাকার যাবতীয় কুকুর ল্যাজ গুটিয়ে দূর থেকে ঘেউ-ঘেউ করছে। সেও এক দৃশ্য।